আমার পরমস্নেহের মাধ্যমিক বন্ধুরা আজ এই আর্টিকেলে আমি তোমাদের সাথে ইতিহাসের পঞ্চম অধ্যায় ‘বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগঃ- বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা’ থেকে বাছাইকরা এককথায় নিয়ে লিখেছি।তোমরা এই আর্টিকেলটি অত্যন্ত যত্ন সহকারে প্রথম থেকে শেষ পযর্ন্ত পড়ো বা প্রয়োজনে খাতায় নোটশ করে তৈরী করো বেস্ট রেজাল্টের জন্য।
এককথায়ঃ-
- ভারতে ‘হাফ টোন’ প্রিন্টিং পদ্ধতি প্রবর্তন করেন – উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী
- বিশ্বভারতী (১৯২১) প্রতিষ্ঠা করেন – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- বাংলা ভাষায় প্রথম ছাপা বই হল – এ গ্রামার অব দি বেঙ্গল ল্যাঙ্গোয়েজ
- ‘ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দা কাল্টিভেশন অব সায়েন্স’ এর যে বিজ্ঞানী নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি হলেন – সি.ভি. রামন
- ‘বর্ণপরিচয়’ প্রকাশিত হয়েছিল – ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে
- ‘বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট’ প্রতিষ্ঠিত হয় – ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে
- ইউ. রায় অ্যান্ড সন্স (১৮৯৫) ভূমিকা নিয়েছিল – বাংলায় মূদ্রণ শিল্পের প্রসারে
- ‘বসু বিজ্ঞান মন্দির’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন – জগদীশচন্দ্র বসু
- ‘ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স’ (IACS) এর প্রতিষ্ঠাতা – মহেন্দ্রলাল সরকার
- কলকাতা বিজ্ঞান কলেজের প্রতিষ্ঠাতা – স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়
- ‘ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অব সায়েন্স’ (IACS) প্রতিষ্ঠিত হয় – ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে
- ‘বাংলার গুটেনবার্গ’/ ‘বাংলা মুদ্রণ শিল্পের জনক’ নামে খ্যাত – চার্লস উইলকিনস
- ইউ. রায় অ্যান্ড সন্স (১৮৯৫) সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেন – উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী
- ছাপাখানার মুদ্রণের জন্য সর্বপ্রথম বাংলা অক্ষর তৈরি করেন – চার্লস উইলকিনস
- মার্জিত বাংলা হরফের প্রথম কারিগর ছিলেন – পঞ্চানন কর্মকার
- বাংলায় প্রথম ছাপাখানা (১৭৭৮) প্রতিষ্ঠিত হয় – চুঁচুড়ায়
- ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে চুঁচুড়ায় বাংলায় প্রথম ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন – জন এন্ড্রুজ
- ‘এ গ্রামার অব দি বেঙ্গল ল্যাঙ্গোয়েজ গ্রন্থটির রচয়িতা – ন্যাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড
- আধুনিক ভারতের বিজ্ঞান – বিষয়ক প্রথম গবেষণাগারটি তৈরি করেন – মহেন্দ্রলাল সরকার
- ভারতে প্রথম ছাপাখানা (গোয়া,১৫৫৬) স্থাপন করেন – পর্তুগিজরা
- বাংলায় প্রথম ছাপাখানা (চুঁচুড়া,১৭৭৮) স্থাপন করে – ব্রিটিশরা
- বিশ্বভারতীর প্রথম উপাচার্য ছিলেন – রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- শ্রীরামপুর মিশন প্রেস (১৮০০) স্থাপন করেন – উইলিয়াম কেরি
- পূর্ববঙ্গের – রংপুরে প্রথম ছাপাখানা গড়ে ওঠে
- শ্রীরামপুর মিশন প্রেস থেকে প্রকাশিত প্রথম বই – বাইবেলের বঙ্গানুবাদ
- প্রথম বাঙালি প্রকাশক ছিলেন – গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য
- ইউ. রায়. অ্যান্ড সন্স থেকে প্রকাশিত প্রথম বই – টুনটুনির বই
- ‘সন্দেশ’ পত্রিকা ছাপা হতো – উপেন্দ্রকিশোরের ছাপাখানায়
- লাইনো টাইপ প্রবর্তন করেন – সুরেশচন্দ্র মজুমদার
- বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম চিত্রিত গ্রন্থের নাম – ভারতচন্দ্রের ‘অন্নদামঙ্গল’
- ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে ‘শ্রীরামপুর মিশ্রণ প্রেস’ প্রতিষ্ঠিত হয়
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর – (১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে) বর্ণপরিচয় রচনা করেন
- ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়
- বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট /জাতীয় শিক্ষা পরিষদের বর্তমান নাম – যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
- বিশ্বভারতী/ শান্তিনিকেতন – বীরভূম জেলার বোলপুরের সন্নিকটস্থ ভুবনডাঙার মাঠে অবস্থিত
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৯২১ খ্রিস্টাব্দে) – শ্রীনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন
- কলকাতার সংস্কৃত প্রেস /সংস্কৃত যন্ত্র প্রেস (১৮৪৭) স্থাপন করেন – ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
- ‘ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ ফিজিক্স’ – ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স’ এর মুখপত্র ছিল
- জাতীয় শিক্ষা পরিষদের প্রথম সভাপতি ছিলেন – রাসবিহারী ঘোষ
- বেঙ্গল ন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন – অরবিন্দ ঘোষ
- একটি স্বদেশী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম – জাতীয় শিক্ষা পরিষদ (১৯০৬)
- ঔপনিবেশিক বাংলার একটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম – বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট (১৯০৬)
- বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট (১৯০৬) প্রতিষ্ঠা করেন – তারকনাথ পালিত
- বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট (১৯০৬) এর প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন – প্রমথনাথ বসু
- ঔপনিবেশিক শিক্ষানীতির একজন সমালোচকের নাম – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- বাংলায় প্রথম সচিত্র বই প্রকাশ করেন গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য (ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গল ১৮১৬ খ্রিস্টাব্দে)
- প্রথম সচিত্র বাংলা বই ‘অন্নদামঙ্গল (১৮১৬) এর চিত্রগুলি অঙ্কন করেন -শিল্পী রামচাঁদ রায়
- ভারতীয় উদ্যোগে প্রকাশিত প্রথম বাংলা সাপ্তাহিক সংবাদপত্রের নাম – গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের ‘বাঙ্গালা গেজেটি’ পত্রিকা (এটি গঙ্গাকিশোরের নিজস্ব ছাপাখানা বাঙ্গালা গেজেটি যন্ত্রালয় থেকে ১৮১৮ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়)
- ‘ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স’ এর প্রথম অধিকর্তা ছিলেন – প্যারিমোহন মুখোপাধ্যায়
- ‘টেক’ নামক জার্নাল – বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের মুখপত্র ছিল
- শান্তিনিকেতনের বিখ্যাত কলাভবনটি – ১৯০৯ সালে স্থাপিত হয়
- শিলাইদহে ‘মহর্ষি দাতব্য চিকিৎসালয়’ এবং ‘হিতৈষী’ তহবিল প্রতিষ্ঠা করেন – বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- প্রথম বাংলা রঙিন পত্রিকার নাম – উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী সম্পাদিত ‘সন্দেশ পত্রিকা’
- শ্রীরামপুর মিশন প্রেস থেকে প্রকাশিত প্রথম বই – বাইবেলের বঙ্গানুবাদ ‘মঙ্গলমতিয়ের সমাচার’
- ইউ. রায় অ্যান্ড সন্স থেকে প্রকাশিত প্রথম বই – টুনটুনির বই (১৯১০)
- ‘এ গ্রামার অব দি বেঙ্গল ল্যাঙ্গোয়েজ’ গ্রন্থটি প্রথম মূদ্রিত হয়েছিল (১৭৭৮) – এন্ড্রুজের ছাপাখানা থেকে
সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করোঃ-
- বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট ১৯১০ সালে জাতীয় শিক্ষা পরিষদের সঙ্গে মিশে যায় – সত্য
- রবীন্দ্রনাথ ঔপনিবেশিক শিক্ষানীতির সমর্থক ছিলেন – মিথ্যা
- শ্রীরামপুর মিশন প্রেস থেকে বাংলা ভাষায় প্রথম সংবাদপত্র মুদ্রিত হয় – সত্য
- কলকাতার আদি প্রকাশনা শিল্প হল বটতলার প্রকাশনা – সত্য
- ইউ. রায়. অ্যান্ড সন্স -কে কেন্দ্র করে ছাপাখানার ব্যবসায়িক বিকাশ শুরু হয় – সত্য
- কলকাতার বিজ্ঞান কলেজ বর্তমানে ‘রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ’ নামে পরিচিত – সত্য
- ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বই – পত্র শ্রীরামপুর মিশন প্রেসে ছাপানো হতো – সত্য
- জগদীশচন্দ্র বসু রচিত ‘অব্যক্ত’ গ্রন্থটি বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান শিক্ষার একটি আদর্শ উদাহরণ – সত্য
- রেডিও বা বেতার যন্ত্রের আবিষ্কার করেন জগদীশচন্দ্র বসু – সত্য
- বসু বিজ্ঞান মন্দিরে দীর্ঘ গবেষণার পর জগদীশচন্দ্র বসু কেসকোগ্রাফ যন্ত্রটি আবিষ্কার করেন – সত্য
উত্তরসহ স্তম্ভমিলনঃ-
- অরবিন্দ ঘোষ – বেঙ্গল ন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ (১৯০৬)
- তারকনাথ পালিত – বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট (১৯০৬)
- ইতিহাসমালা – উইলিয়াম কেরি
- রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্র – রামরাম বসু
- রাজাবলি – মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
- শিশুশিক্ষা – মদনমোহন তর্কালঙ্কার
- বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ – সত্যেন্দ্রনাথ বসু
- হিস্ট্রি অফ হিন্দু কেমিস্ট্রি – আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়
- জাতীয় শিক্ষা পরিষদ – সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর/ রাসবিহারী ঘোষ
- ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট (ISI) – প্রশান্তচন্দ্র মহালানবিশ