আমার প্রিয় মাধ্যমিক বন্ধুদের জন্য আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল।এই আর্টিকেলে ইতিহাসের চতুর্থ অধ্যায়ঃ-‘সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথাঃ-বিশ্লেষণ ও বৈশিষ্ট্য’ থেকে গুরুত্বপূর্ণ এককথায় নিয়ে লেখা। তোমরা অত্যন্ত যত্ন সহকারে এই আর্টিকেলটি পড়ে খাতায় নোটশ করে বেস্ট রেজাল্টের জন্য তৈরি করো।
- ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহকে ভারতের স্বাধীনতার প্রথম যুদ্ধ বলেছিলেন – বি.ডি সাভারকার
- ভারতের প্রথম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হল- বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা
- ‘ভারতমাতা’ চিত্রটি আঁকেন – অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে – ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে
- ভারতসভার প্রথম সভাপতি ছিলেন – রেভাঃ কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়
- ‘বন্দেমাতরম’ সংগীতটি রচিত হয় – ষন১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে
- ‘বর্তমান ভারত’ গ্রন্থটি রচনা করেন – স্বামী বিবেকানন্দ
- গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন – ব্যঙ্গ চিত্রশিল্পী
- মহারানীর ঘোষণাপত্র (১৮৫৮) অনুযায়ী ভারতের ‘রাজপ্রতিনিধি’ হিসেবে প্রথম নিযুক্ত হন -লর্ড ক্যানিং
- ভারতসভার কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন – সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
- উনিশ শতককে ‘সভা – সমিতির যুগ’ বলেছেন – ডক্টর অনিল শীল
- নব্যবঙ্গ চিত্রকলার পথিকৃৎ ছিলেন – অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- ‘এইটিন ফিফটি সেভেন’ গ্রন্থের রচয়িতা – সুরেন্দ্রনাথ সেন
- ‘রাষ্ট্রগুরু/’বাংলার মুকুটহীন রাজা’/’সারেন্ডার নট’নামে পরিচিত – সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
- মহারানীর ঘোষণাপত্রটি প্রকাশিত হয় – ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ১ নভেম্বর
- ‘ভাইসরয়’ শব্দের অর্থ – রাজপ্রতিনিধি
- ‘ন্যাশনাল পেপার’ সাপ্তাহিকের সম্পাদক – নবগোপাল মিত্র
- ‘হিন্দু মেলা’র মুখপত্র ছিল – ন্যাশনাল পেপার
- ‘ভারতের জাতীয়তাবাদের জনক’ বলা হয় – স্বামী বিবেকানন্দকে
- ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসে – সন্ন্যাসী ফকির বিদ্রোহের উল্লেখ পাওয়া যায়
- সিভিল সার্ভিসে ভারতীয় পরীক্ষার্থীদের বয়সসীমা কমানোর এবং অস্ত্র আইন ও মাতৃভাষায় সংবাদপত্র আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলে – ভারতসভা
- লর্ড রিপন ইলবার্ট বিল পাশ করেন – ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে
- ভারতসভার উদ্যোগে কলকাতায় সর্বভারতীয় জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় – ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে
- মহারানী ভিক্টোরিয়া ‘ভারত সম্রাঙ্গী’ উপাধি পান – ১৮৭৭ খ্রিস্টাব্দে
- পুনা সার্বজনিক সভা (১৮৭০) প্রতিষ্ঠা করেন – মহাদেব গোবিন্দ রানাডে
- ‘মহাজন সভা’ (১৮৮৪) প্রতিষ্ঠিত হয় – মাদ্রাজে
- ‘হিন্দুমেলা’র অপর নাম ছিল – চৈত্রমেলা
- দমনমূলক অস্ত্র আইন (১৮৭৮) ও মাতৃভাষায় সংবাদপত্র আইন (১৮৭৮) পাশ করেন – লর্ড লিটন
- ভারতসভার মুখপত্র ছিল – বেঙ্গলি পত্রিকা
- বেঙ্গলি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন – সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
- লন্ডনে ‘ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটি’ প্রতিষ্ঠা (১৮৩৯) করেন – উইলিয়াম অ্যাডাম
- ‘ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন’ প্রতিষ্ঠিত হয় – ১৮৫১ খ্রিস্টাব্দে
- ‘ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন’ – এর প্রথম সভাপতি – রাধাকান্ত দেব
- ‘ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন’ – এর প্রথম সম্পাদক – দ্বারকানাথ ঠাকুর
- একজন ব্যঙ্গ চিত্রশিল্পীর নাম – গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
- ‘ভারতমাতা’ চিত্রটি বঙ্গভঙ্গ – বিরোধী স্বদেশী আন্দোলনের পটভূমিকায় অঙ্কিত
- ভারতসভার একজন প্রতিষ্ঠাতার নাম – সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
- ‘গোরা’ উপন্যাসটি রচনা করেন – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- ‘আনন্দমঠ’ রচনা করেন – বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে)
- ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাস – বঙ্গদর্শন পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়
- ১৮৫৭ – এর বিদ্রোহের প্রকৃতি সংক্রান্ত বিতর্কঃ- সিপাহী বিদ্রোহঃ- জন লরেন্স, চার্লস রেকস/দাদাভাই নৌরজি,হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়// জাতীয় বিদ্রোহঃ- কার্ল মার্কস, নর্টন,ডাফ// স্বাধীনতার প্রথম সংগ্রামঃ- বিনায়ক দামোদর সাভারকার// সামন্ত বিদ্রোহঃ-রজনীপাম দত্ত,রমেশচন্দ্র মজুমদার
- ১৮৫৭ -এর বিদ্রোহকে ‘সামন্তশ্রেণীর মৃত্যু কালীন আর্তনাদ’ বলে অভিহিত করেছেন – ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার
- সিপাহী বিদ্রোহ মহাবিদ্রোহের প্রথম সূচনা হয় ব্যারাকপুরে (১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৯ মার্চ)
- সিপাহী বিদ্রোহ /মহাবিদ্রোহের প্রকৃত সূচনা হয় – মিরাটে (১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ১০ মে)
- মঙ্গল পান্ডে ছিলেন – সিপাহী বিদ্রোহের প্রথম শহীদ
- মহাবিদ্রোহের সময় ভারতের গভর্নর জেনারেল ছিলেন – লর্ড ক্যানিং
- মহাবিদ্রোহের নেতৃত্বঃ- ঝাঁসি – রাণী লক্ষ্মীবাঈ/ বিহার – কুনওয়ার সিং/ দিল্লী – বখত খান/ অযোধ্যা – বেগম হজরত মহল/ কানপুর – তাঁতিয়া টোপি,নানাসাহেব(ধুন্দুপন্থ)
- মহাবিদ্রোহের নামসর্বস্ব নেতা ছিলেন – মোগল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ (তাঁকে ‘শাহেনশা -ই- হিন্দ’ উপাধি প্রদান করা হয় )
- ভারতে মোগল শাসনের অবসান ঘটে – ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে
- শেষ মোগল সম্রাট ছিলেন – দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ
- বাংলার একজন জাতীয়তাবাদী সাহিত্যকের নাম – বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
- ইলবার্ট বিলের বিরুদ্ধে ইংরেজরা – ডিফেন্স অ্যাসোসিয়েশন (ব্রনসনের নেতৃত্বে ) সংগঠন গড়ে তোলে
- গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা একটি বিখ্যাত ব্যঙ্গচিত্রের নাম – জাতাসুর/পরভূতের কাকলি/বিদ্যার কারখানা /বাকযন্ত্র
- গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা একটি বিখ্যাত ব্যঙ্গচিত্র সংকলনের নাম – বিরূপ বজ্র/ নয়া হুল্লোড় /অদ্ভূত লোক
- ‘এ নেশান ইন মেকিং’ গ্রন্থের রচয়িতা – সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করোঃ-
- মহাবিদ্রোহের সময় ভারতের গভর্নর জেনারেল ছিলেন লর্ড ডালহৌসি – মিথ্যা
- ‘গোরা’ উপন্যাসে রবীন্দ্রনাথ ইউরোপীয় সমাজকে সমর্থন করেছিলেন – মিথ্যা
- ভারতসভা ইলবার্ট বিলের বিরোধিতা করেছিল – মিথ্যা
- হিন্দুমেলা মূলত একটি সাম্প্রদায়িক প্রতিষ্ঠান – মিথ্যা
- রবীন্দ্রনাথের গোরা উপন্যাসটি ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় – সত্য
- গোরা উপন্যাসের ‘গোরা’ (গৌরমোহন) জন্মসূত্রে একজন আইরিশ – সত্য
- অবনীন্দ্রনাথের ‘ভারতমাতা’ চিত্রের প্রকৃত নাম ‘বঙ্গমাতা’ – সত্য
- অবনীন্দ্রনাথের ‘ভারতমাতা’ চিত্রের নামকরণ করেন ভগিনী নিবেদিতা – সত্য
- স্বামীজীর ‘বর্তমান ভারত’ ১৯০৫ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় – সত্য
- হিন্দুমেলা চৈত্র সংক্রান্তির দিন অনুষ্ঠিত হতো – সত্য
- শ্বেতাঙ্গ সমাজ ইলবার্ট বিলকে সমর্থন করেছিল – মিথ্যা
- গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা ব্যঙ্গচিত্রগুলি ‘প্রবাসী’ ও ‘মর্ডান রিভিউ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হতো – সত্য
- ১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত জমিদার সভা এবং ১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দে লন্ডনে প্রতিষ্ঠিত ‘ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটি’ পরস্পর মিলিত হয়ে ১৮৫১ খ্রিস্টাব্দে ‘ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন’ রূপে আত্মপ্রকাশ করে – সত্য
উত্তরসহ স্তম্ভমিলনঃ-
- নবগোপাল মিত্র – হিন্দু মেলা
- রাধাকান্ত দেব – ল্যান্ড হোল্ডার্স সোসাইটি
- বিনায়ক দামোদর সাভারকার – ইন্ডিয়ান ওয়ার অফ ইন্ডিপেনডেন্স
- ইন্ডিয়ান লীগ – শিশিরকুমার ঘোষ
- বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা – কালীনাথ রায়চৌধুরী
- রমেশচন্দ্র মজুমদার – দ্যা সিপাই মিউটিনি অ্যান্ড দ্য রিভোল্ট অফ ১৮৫৭