মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2024/ Madhyamik History Suggestion 2024

আমার প্রাণপ্রিয় মাধ্যমিক বন্ধুদের জন্য আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল। এই আর্টিকেলে আমি তোমাদের জন্য ইতিহাসের তৃতীয় অধ্যায় “প্রতিরোধ ও বিদ্রোহঃ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ” থেকে গুরুত্বপূর্ণ এককথায় নিয়ে লিখেছি। তোমরা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত অত্যন্ত যত্ন সহকারে এইগুলি খাতায় নোটশ করে পরীক্ষার প্রস্তুতি নাও এবং একটি সবচেয়ে ভালো মার্কস তুলে নাও। তাহলে চলো দেখে নেওয়া যাক এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি……….

  1. সুঁই মুন্ডা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন – কোল বিদ্রোহে
  2. ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দের অরণ্য আইনে অরণ্যকে ভাগ করা হয় – তিনটি স্তরে
  3. কোল বিদ্রোহ (১৮৩১ -৩২) অনুষ্ঠিত হয়েছিল – ছোটোনাগপুরে
  4. ভারতে প্রথম অরণ্য আইন পাশ হয় – ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে
  5. তিতুমীরের প্রকৃত নাম ছিল – মির নিসার আলি
  6. সন্ন্যাসী – ফকির বিদ্রোহের অন্যতম নেতা ছিলেন – দেবী চৌধুরানি
  7. বারাসাত বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেন – তিতুমীর
  8. ‘দামিন -ই-কোহ’ শব্দের অর্থ – পাহাড়ের প্রান্তদেশ
  9. ‘মেদিনীপুরের লক্ষ্মীবাঈ’ নামে পরিচিত ছিলেন – রানি শিরোমণি
  10. ‘বাংলার নানাসাহেব’ নামে পরিচিত – রামরতন মল্লিক
  11. ‘বাংলার ওয়াট টাইলার’ নামে পরিচিত – বিষ্ণুচরণ বিশ্বাস
  12. ‘খুঁৎকাঠি প্রথা’ যে সমাজে প্রচলিত ছিল – মুন্ডা
  13. নীল কমিশন গঠিত হয় – ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে
  14. ‘হুল’ কথার অর্থ – বিদ্রোহ
  15. মুন্ডাদের কাছে ভগবান রূপে আখ্যায়িত হন – বিরসা মুন্ডা
  16. ভারতে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সংঘটিত প্রথম বিদ্রোহ ছিল – সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ
  17. মুন্ডা সমাজে প্রচলিত বেগার শ্রমদান প্রথার নাম ছিল – বেত-বেগারি প্রথা
  18. ভারতে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সংঘটিত প্রথম আদিবাসী -উপজাতি বিদ্রোহ ছিল –
  19. বর্তমানে -সাঁওতাল বিদ্রোহের স্মরণে হুল দিবস (৩০ জুন) পালিত হয়
  20. ‘দিকু’ কথার অর্থ – বহিরাগত
  21. পাইকান জমি ভোগ করতো – চুয়াড়রা
  22. ফকির করম শাহ (এবং তাঁর পুত্র টিপু) যে বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন – পাগলপন্থী বিদ্রোহ
  23. যে বিদ্রোহের ফলে দক্ষিণ -পশ্চিম সীমান্ত এজেন্সি (১৮৩৩) নামে একটি পৃথক প্রশাসনিক অঞ্চল গঠিত হয় – কোল বিদ্রোহ
  24. ‘চুয়াড়’ শব্দের অর্থ – অসভ্য বর্বর
  25. তিতুমীরের অনুগামীরা যে নামে পরিচিত ছিলো – হেদায়তি
  26. সিধু নেতৃত্ব দিয়েছিলেন – কোল বিদ্রোহে
  27. চুয়ার বিদ্রোহের দ্বিতীয় পর্বের (১৭৯৮-৯৯) নেতৃত্ব দেন – দুর্জন সিং
  28. ছোটনাগপুর প্রজাসত্ত্ব আইন পাশ হয় – ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে
  29. সাঁওতালরা বসবাস করতো – রাজমহল পাহাড়ের প্রান্তদেশে
  30. বিরসা মুন্ডার সেনাপতি ছিলেন – গয়া মুন্ডা
  31. ভারতে নীল চাষের প্রবর্তন করে – ফরাসিরা
  32. মুন্ডা বিদ্রোহ জনিত ‘ভয়ংকর বিশৃঙ্খলা’কে -উলগুলান বলা হয়েছে
  33. রংপুরের অত্যাচারী ইজারাদার ছিলেন -দেবী সিংহ
  34. আরবি শব্দ ‘ফরাজি’ -র অর্থ হলো – ‘ইসলাম নির্দিষ্ট বাধ্যতামূলক কর্তব্য’
  35. ‘ওয়াহাবি’ শব্দের অর্থ – ‘নবজাগরণ’
  36. ‘ওয়াহাবী’ আন্দোলনের প্রকৃত নাম – ‘তারিখ -ই- মহম্মদীয়া’ অর্থাৎ মহম্মদ প্রদর্শিত পথ
  37. বড়লাট লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক – (১৮৩১) সালে বাঁশের কেল্লা ধ্বংস করেন
  38. পশ্চিমঘাট পর্বতমালার পাদদেশে খান্দেশ অঞ্চলে বসবাসকারী আদিম উপজাতিরা – ‘ভীল’ নামে পরিচিত
  39. ‘চূয়াড়’ -রা ছিল মেদিনীপুর, বাঁকুড়া জেলার অন্তর্গত জঙ্গলমহল নামক বনাঞ্চলের অধিবাসী
  40. ভাগনাদিহির মাঠে – সাঁওতাল বিদ্রোহের সূচনা হয়
  41. বঙ্কিমচন্দ্রের ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসে সন্ন্যাসী – ফকির বিদ্রোহের চিত্র ফুটে উঠেছে ( এতে ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের চিত্রও পাওয়া যায় )
  42. সাঁওতাল বিদ্রোহ বা ‘সাঁওতাল হুল’ এর প্রতীক ছিল -শালপাতা
  43. সাঁওতালদের কাছে বহিরাগত জমিদার বা মহাজনরা – ‘দিকু’ নামে পরিচিত ছিল
  44. মুন্ডাদের কৃষি ব্যবস্থায় প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল জমির যৌথ মালিকানা বা ‘খুঁৎকাঠি প্রথা’
  45. ধরতি আবা বা ‘ধরনীর পিতা’ নামে পরিচিত ছিলেন – বিরসা মুন্ডা
  46. ভারতের প্রথম নীলকর ছিলেন / ভারতে নীল চাষের প্রবর্তন করেন – ফরাসি বণিক লুই বোনার্ড
  47. ভারতে প্রথম নীল শিল্প গড়ে তোলেন ইংরেজ বণিক কার্ল ব্ল্যাম
  48. ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ‘উন্নততর ভারত শাসন আইন’ – এর মাধ্যমে ভারতে কোম্পানির শাসনে অবসান ঘটে এবং মহারানীর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরিত হয়
  49. ভারতের প্রথম ভাইসরয় ছিলেন – লর্ড ক্যানিং
  50. তিতুমীরের প্রধান সেনাপতি ছিলেন – গোলাম মাসুম
  51. ভারতীয় বন বিভাগ ( ইম্পেরিয়াল ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট গঠিত ) হয় – ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দে
  52. অরণ্য সনদ আইন পাশ হয় – ১৮৫৫ সালে
  53. ভারতীয় বন বিভাগের প্রথম ইনস্পেক্টর জেনারেল ছিলেন – ডাইট্রিক ব্র‍্যান্ডিস
  54. ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিস / ইম্পিরিয়াল ফরেস্ট সার্ভিস ) চালু হয় – ১৮৬৭ সালে
  55. স্থানীয় জমিদারের অধীনে পাইক বা সৈনিকের কাজের বিনিময়ে চুয়ার – রা যে নিষ্কর জমি ভোগ করত তাকে – পাইকান জমি করা হতো
  56. চুয়াড় বিদ্রোহের পর – ‘জঙ্গলমহল’ নামক প্রশাসনিক অঞ্চল গঠিত হয় (১৮০০ খ্রিস্টাব্দে বিষ্ণুপুর শহরকে কেন্দ্র করে )
  57. তিতুমীরের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন – মঈনুদ্দিন
  58. সাঁওতাল বিদ্রোহের পর ‘সাঁওতাল পরগনা’ নামে পৃথক প্রশাসনিক অঞ্চল গঠিত হয়
  59. ‘বিশে ডাকাত’ নামে পরিচিত ছিলেন নীল বিদ্রোহের অন্যতম নেতা – বিশ্বনাথ সর্দার
  60. নীল আইন পাস হয় – ১৮৬২ সালে
  61. ‘হিন্দু প্যাট্রিয়ট’ – পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়

সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করোঃ-

  1. ফরাজি একটি প্রাচীন উপজাতির নাম – মিথ্যা
  2. মির নিসার আলী ‘বাঁশের কেল্লা’ বানিয়েছিলেন – সত্য
  3. বিরসা মুন্ডা ‘সিং বোঙা’ বা সূর্য দেবতার উপাসক ছিলেন – সত্য
  4. বাংলায় ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রধান ঘাঁটি ছিল বারাসাতের নিকটবর্তী নারকেলবেড়িয়া গ্রাম – সত্য
  5. মোপলা বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিল কেরালার মালাবার উপকূলে – সত্য
  6. হাজী শরীয়ৎ উল্লাহ ফরাজি আন্দোলনের প্রবর্তন করেন – সত্য
  7. ‘দার-উল- হারব’ কথার অর্থ ইসলামের দেশ – মিথ্যা
  8. বিরসা মুন্ডা নিজেকে ‘ধরতি আবা’ বা ধরনির পিতা বলে ঘোষণা করেন – সত্য
  9. সমাচার দর্পণ /সমাচার চন্দ্রিকা/ হিন্দু প্যাট্রিয়ট/ সোমপ্রকাশ পত্রিকা নীলকরদের অত্যাচারের কাহিনী তুলে ধরে – সত্য
  10. ‘ওয়াহাবি’ একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নাম – সত্য
  11. তিতুমীরের আন্দোলন বারাসাত বিদ্রোহ নামে পরিচিত -সত্য
  12. বাংলার বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় নীল বিদ্রোহকে সমর্থন করেছিল – মিথ্যা
  13. বাংলার বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় সাঁওতাল বিদ্রোহকে সমর্থন করেছিল – মিথ্যা
  14. ছোটনাগপুর অঞ্চলের রাঁচিতে কোলরা ঘোষণা করে – সত্য
  15. দাদন শব্দের অর্থ অগ্রিম অর্থ – সত্য

উত্তরসহ স্তম্ভমিলনঃ-

  1. চুয়াড় বিদ্রোহ – জগন্নাথ সিং
  2. কোল বিদ্রোহ – বুদ্ধ ভগৎ
  3. রংপুর বিদ্রোহ – নুরুল উদ্দিন
  4. সাঁওতাল বিদ্রোহ – ১৮৫৫ – ৫৬ খ্রিস্টাব্দ
  5. এলাকা চাষ – নীল বিদ্রোহ
  6. পঞ্চম আইন – লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক
  7. রাজমহল পাহাড় – সাঁওতাল বিদ্রোহ
  8. ভবানী পাঠক – সন্ন্যাসী ফকির বিদ্রোহ
  9. অরণ্য আইন – ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দ
  10. বাহাদুরপুর – ফরাজী আন্দোলন

-ঃসমাপ্ত-ঃ

Leave a Comment